প্রকাশিত: Sat, May 6, 2023 5:05 AM
আপডেট: Tue, May 13, 2025 3:33 AM

এত বছরেও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি সরকার: মির্জা ফখরুল

রিয়াদ হাসান: ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অব্যবস্থাপনার কারণে, আমাদের প্রাণ যেগুলো নিয়ে বেঁচে আছি যেগুলোর সাথে, আমাদের জীবন-জীবিকার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, সেগুলোকে আমরা নিজেরাই হত্যা করছি, ধ্বংস করে দিচ্ছি। তিস্তা নিয়ে সরকার ভারতের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। ফলে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে রূপান্তর হতে যাচ্ছে। সরকার আমাদের ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করে না।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশ ও নদী’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

লন্ডনের টেমস নদীর উদাহরণ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বুড়িগঙ্গা নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া যায় না এতটাই দুর্গন্ধ, নদীর উপর দিয়ে যাবেন তো দূরের কথা। আর তুরাগে গেলে দেখা যায়, নদটি মরে গেছে প্রায়। এখন শুকে যাওয়া শুরু হয়েছে ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা। এগুলোও মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছে। এছাড়া সাভার ও ধামরাইয়ে ছোট ছোট যে নদী আছে, সেগুলোও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ঢাকার আশপাশে নদী দখলের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে তাদের লোকজনই নদীগুলো দখল করছে। এছাড়া বর্তমান সরকার উন্নয়নের ঢাকঢোল বাজায় প্রতিনিয়ত। কিন্তু নদী পরিশুদ্ধ করার বা নদীগুলোকে সঠিকভাবে প্রবাহিত করার সুযোগ দিতে তাদের কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। যে কারণে তিনি খাল খনন শুরু করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার সময় পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যার ফলে ঢাকায় দূষণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এগুলো গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে এখন ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরীর মধ্যে একটি।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় তারা। তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটা হলো জোর করে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। ক্ষমতায় থাকতে তারা যা খুশি তা-ই করছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে টিকে থাকতে হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া